বিজেপির সংখ‍্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ

3rd December 2020 12:51 pm বাঁকুড়া
বিজেপির সংখ‍্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  এলাকার মানুষ সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত দাবি করে বস্ত্র বিতরণ করা হলো বিজেপি সংখ্যালঘু সেল এর পক্ষ থেকে । ঐ সংগঠনের রাজ্য কোষাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে এই বস্ত্র দান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় ।

আজকের এই বস্ত্র বিতরণ সভা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন বিজেপি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হরকালী প্রতিকার ও রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সালের কোষাধক্ষ্য মহুর আলি মল্লিক।

রাজ্য সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বিষ্ণুপুরের পিয়ারডোবা গ্রামের মানুষ এমনটাই দাবি সংখ্যালঘু সেল এর রাজ্য কোষাধ্যক্ষের । সে কারণেই আজ ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বস্ত্র দান করা হলো। প্রায় দু'শো জন মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দিলেন তারা। ভারতীয় জনতা পার্টির এই উদ্যোগে খুশি ঐ এলাকার মানুষ।

আজকের সভা থেকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হরকালী প্রতিকার রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি দুয়ারে সরকার নিয়ে বলেন তৃণমূল সরকার বিজেপির সমস্ত প্রকল্প গুলিকে অনুকরণ করছে বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি 2016 সালে দুয়ারে পদ্ম ফুলের সূচনা করেছিলেন সেটা দেখেই রাজ্য সরকার এই কর্মসূচি গ্রহণ করেন ।

রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সেল এর কোষাধক্ষ্য মহুর আলি মল্লিক রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন রাজ্য সরকারের প্রচুর প্রকল্প চলছে কিন্তু সেইসব প্রকল্পে সাধারণ মানুষ কোন উপকৃত হন না উপকৃত হচ্ছে চাল চোর মুরগি চোর ছাগল চোরেদের ।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।